ম্যাচ জিততে হলে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। স্ট্রাইকে শোয়েব মালিক। আফগান পেসার আফতাব আলমের করা প্রথম বলে কোনও মতে রক্ষা পান শোয়েব।এতে আফগানদের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়।কিন্তু পরের দুই বলে আফগানদের জয়ের আশায় জল ঢেলে দিলেন পাকিস্তান দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান শোয়েব।একটা ছয় এবং একটা চারে ম্যাচটি নিজেদের পকেটে পুরে নেন তাঁরা। তাতে গোটা আফগানিস্তানের পাশাপাশি আফগান পেসার আফতাবের হৃদয়ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। দলের এমন পরাজয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না তিনি।মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আফতাব।মাঠে তাঁকে কাঁদতে দেখে আফগান ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সেখানে চলে এলেন শোয়েব মালিকের পাশাপাশি হাসান আলিও।জয়ের সুবাস পেতে পেতে দলের হারের জন্য আফতাব সম্ভবত নিজেই নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলেন বিবেকের কাঠগড়ায়। ভীষণ অনুশোচনাবোধের ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেননি। বুকের মধ্যে দলা পাকিয়ে থাকা আবেগের বিস্ফোরণে ভিজে আসা চোখ ঢেকেছেন মুখ ঢেকে। পাকিস্তান শিবিরে তখন জয়ের উল্লাস। কিন্তু মাঠের মধ্যে ভিন্ন চিত্র। পাক দলের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের মধ্যে শোয়েব মালিক খেয়াল করলেন প্রতিপক্ষ দলের বোলারটি কাঁদছেন। শোয়েব ছুটে গেলেন তাঁর পাশে। আফতাবের কাঁধে হাত রেখে হাঁটু মুড়ে পাশে বসে কিছু বললেন।দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের এই আচরণ দেখে হাসান আলীও ছুটে যান আফতাবকে সান্ত্বনা দিতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct