আপনজন ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ ঘোষণা করেছে। সেই শিক্ষানীতি নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষাবিদরা এই শিক্ষানীতির খারাপ দিক নিয়ে সরব হয়েছেন। সেই কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির ভাল মন্দ দিক নিয়ে ওয়েবিনারের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ আলোচনা হল শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত। এই আলোচনার আয়োজক ছিল অল ইন্ডিয়া আইডিয়াল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য শাখা। এই মনোজ্ঞ আলোচনা সভায় অংশ নেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক রতন খাসনবিস, তেলেঙ্গানার গভর্নমেন্ট গিরিরাজ কলেজের উর্দু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুর রহমান ও নিজামাবাদ জুনিয়র কলেজের প্রিন্সিপাল মুহাম্মাদ ইয়াকিনুদ্দিন প্রমুখ। সঞ্চালক ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আয়াতুল্লা ফারুক।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন, রাজ্যগুলিকে উপেক্ষা করে এই শিক্ষানীতির খসড়া পেশ করা হয়েছে। রাজ্যগুলির পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
এই নীতিতে প্রাচীন ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিত্বকে মডেল হিসেবে পেশ করা হলেও মধ্যযুগের ও আধুনিক বা আধুনিকোত্তর যুগের সব কিছুকে উপেক্ষা করার মাধ্যমে ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে আদিমতার দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় .৪৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে .৩৩ শতাংশে আনা হচ্ছে যা খুব বিপদজনক লক্ষণ।
স্কুল ছুটি কমাতে বক্তারা দাবি করেন, কমপক্ষে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া, প্রথমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
উর্দু ভাষা দেশের তফসিল ভুক্ত এবং সংখ্যার বিচারে উর্দুভাষীদের স্থান ষষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তাকে মাতৃভাষায় শামিল করা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
দেশের সংখ্যালঘুদের পছন্দ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর সংবিধানের ৩০ ধারার স্বীকৃত অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে দরিদ্র, অসহায়, দলিত-আদিবাসী, দুর্বল শ্রেণীর বিষয় উল্লেখ থাকলেও সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিকে তাই দিশাহীন শিক্ষানীতি হিসেবে অভিহিত করেন বক্তারা। তাই জনসাধারণকে বিষয়গুলি উপলব্ধি করে গণসচেতনতা তৈরি করার আহবান জানানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct