দিল্লির বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় চলে আসা। তারপর হঠাৎ করে বাড়ি থেকে মোদি-শাহর ফ্লেক্স উধাও হয়ে যাওয়া। এই সব দেখে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে মুকুল রায় নাকি বিজেপি ছাড়ছেন। তবে জল্পনার আবসান মুকুল রায় নিজেই ঘটালেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, যে তিনি বিজেপিতে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব না দেওয়া, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে গুরুত্ব না দেওয়া, রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁর মতের মিল না হওয়া, যুব মোর্চার সভাপতি পদে তাঁর ছেলেকে না বসানোই বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। প্রভৃতি বিষয়ের উত্তরে আজ মুকুল রায় জানিয়েছেন, "আমার সঙ্গে বিজেপির কারও কোনও বিরোধ নেই। দলের কোনও সংঘাত নেই। আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার চলছে। কারা এটা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চান মুকুল রায়। বিজেপিতে যোগ দিয়ে আমি একশো শতাংশ সন্তুষ্ট। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আগে যেমন যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল, সেরকমই আছে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রি হওয়ার ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, "মন্ত্রী তো অনেকেই অনেক সময় হয়। আমি সংগঠন ভালবাসি। সংগঠনের কাজেই আমি খুশি। আমাকে বিজেপি পার্টি, মোদি, শাহ, কৈলাশজি অনেক সন্মান দিয়েছেন। আমার কাছে দলের সংগঠনই বড় কথা। আমি দলের সংগঠনটাই করব।" অমিত শাহের প্রশংসা করে বলেন, বিজেপি আমাকে সন্মান দিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব দিয়েছিল। কলকাতায় এসে অমিত শাহ নিজে মুখে আমাকে বলে গিয়েছিলেন জয়ের অন্যতম কান্ডারী।
সংবাদ মাধ্যমের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, আমার খারাপ লাগছে এবং আমায় আঘাত দিয়েছে কিছুদিন ধরে কিছু সংবাদ মাধ্যম যেসব সংবাদ আমায় নিয়ে পরিবেশন করেছে। কেউ বলেছে মুকুল রায় দল ছাড়ছে। কেউ বলেছে মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। আসলে করোনা পরিস্থিতির কারণে আমি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ছিলাম। রাজনৈতিক পরিধিটা বাড়াতে পারিনি। কিন্তু মোদি, কৈলাসজির নির্দেশ মেনে রাজনীতির আঙিনা থেকে সরিনি।
দিল্লির বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় চলে আসা নিয়ে তিনি বলেন, ”কাল আমার চোখে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। আর দিল্লির মিটিংয়ে রাজ্য নেতৃত্ব আছে। আমার থাকার দরকার নেই।"
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct