শুক্রবার সকালে রানাঘাটের একজন অন্ত:সত্ত্বা মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন কল্যাণী জেএনএম মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে।কিন্তু ঐ মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার করে ডাক্তার বাবুদের চক্ষু চড়কগাছ। মিলল একটি বাচ্চার পেটে আরেকটি বাচ্চা।এই ঘটনার সাক্ষী থাকল ডাক্তার, নার্সরা।
কল্যাণী জেএনএম মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গাইনোকলজিস্ট ডা.অভিজিৎ হালদারের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন রানাঘাটের বাসিন্দা একজন অন্ত:সত্ত্বা মহিলা।ইউএসজি রিপোর্টে দেখা যায় একটি বাচ্চার পেটে আরেকটি বাচ্চা রয়েছে।যেটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে 'ফিটাস ইন ফিটো'। এটি জন্ম গত ত্রুটি। প্রতি পাঁচ লাখ সন্তানে একজন সন্তানের এই ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে আরো খবর এই ঘটনা মনোজাইগোটিক টুইন থেকে তৈরি হয়।একটি ফিটাস (হোস্ট ফিটাস)অন্য একটি ফিটাস(প্যারাসাইটিক ফিটাস)এর উপর জড়িয়ে বাড়তে থাকে।তবে দুটি বাচ্চায় বাঁচে না।এক্ষেত্রেও দুটি বাচ্চা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।দ্বিতীয় বাচ্চাটি র অঙ্গগুলির পরিস্ফুটন হয় না।রক্ত সঞ্চালও হয় না।
প্যারাসাইটিক টুইন বা দ্বিতীয় বাচ্চার মাথা তৈরি পর্যন্ত হয় না বলে জানাগেছে।স্বভাবতই এই বিরল ঘটনায় সাক্ষী থাকল কল্যানী জেএনএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।হাসপাতালে সূত্রে খবর তবে ঐ মহিলা সুস্থ রয়েছে।
তথ্য সহায়তা: শুভায়ুর রহমান