রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত বিহারের আরজেডি নেতা ও সাংসদ লালু প্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল শনিবার। পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লালুপ্রসাদ যাদবকে এই নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে এই রায়ের পর হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে।
এদিন রাঁচিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত রায় ঘোষণা করলে পরিস্থিত অমান্ত হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কা কের ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয় আদালত চত্বরে। যদিও লালুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালত থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালুর সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি শিবপাল সিংহ। বেশ কয়েকদিন ধরেই লালুর সাজা ঘোষনা পিছিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শনিবার বিকালে সাড়ে চারটার দিকে লালুর সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি শিবপাল সিংহ।
এই রায় মেনে নিতে পারেননি লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব। অন্যায়ভাবে লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে চক্রান্ত করে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও বিজেপির যোগসাজশে সিবিআই এসব করেছে বলে তেজস্বী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে এভাবে লালু প্রসাদ যাদবকে হয়রানি করার জবাব দেবে বিহারের জনগণ।
শনিবার সকাল থেকেই লালুর সাজা ঘোষণা নিয়ে আদালত চত্বরে ছিল টান টান উত্তেজনা ছিল। লালুর আইনজীবী চিত্তরঞ্জন সিনহা আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন লালু ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত। হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তাই তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সেজন্য যেন সাজার মেয়াদ বেশি না হয়।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। উল্লেখ্য, এদিন লালুর মেয়ে মিসার বিরুদ্ধে একটি আট হাজার কোটি টাকার তছরুপ মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। মিসার স্বামী শৈলেশ কুমারের নামও এই চার্জশিটে রয়েছে।