অনেকেই আমরা বলতে শুনি যে ইউরিক অ্যাসিডের বেড়ে যাওয়ায় ব্যথা বেড়ে গেছে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে ব্যথাসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড থেকে হতে পারে বেদনার আরথ্রাইটিস "গাউট " গেঁটে বাত। শরীরে পিউরিন ভাঙতে থাকলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে কিডনি নিস্কাসন করে দিয়ে থাকে। কিন্তু পরিমান যখন অনেক বেশি হয়ে যায় তখন তা রক্তে জমতে শুরু করে। তারফলে রক্তে গঠিত হয় স্ফটিক। যা গিয়ে জমা হয় হাড়ের গিঁটে আর কিডনিতে। এতে শরীরে ব্যথা বেরে যায়।
এই স্ফটিক শক্ত হয়ে জমা হয় ত্বকের নিচে, গিঁটের চার পাশে,কানে। এর ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
যে কারণে এটা হয়:
মদপান করলে, সিসার কাছাকাছি আসলে, কীটনাশকের মুখোমুখি হলে, কিছু কিছু হৃদরোগের ওষুধ খেলে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্ত গুলুকোজ, স্থুলতা ও হাইপ থাইরয়েডের কারণেও এটা হতে পারে।
রোগ নির্ণয়ে প্রথমত রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান আর ক্রিয়েটিনিনের মান নির্ণয় করতে হবে। তার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান পরীক্ষা করতে হবে।
ইউরিক অ্যাসিড হলে যা খাবেন:
প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে, প্রত্যেকদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস করে। নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন লেবু ,পেয়ারা, আমলকি। আপেল, গ্রিন টি, ফাইবার যুক্ত খাবার। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আনারস খেতে হবে।
যেসব খাবার থেকে দুরে থাকবেন:
চর্বিযুক্ত মাংস, চিনিযুক্ত যেকোনো খাবার। অরগান মিট, সামুদ্রিক খাবার, শীতল জলের মাছ, পালং শাক, মটর শুঁটি, মাশরুম, বিনস, ডাল আর এলকোহল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct