শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। সবে শীত পড়তে শুরু করেছে।তাই ত্বকের ব্যাপারে অনেকে চিন্তায় থাকেন। কারণ আবহাওয়াতে যেহেতু স্বাভাবিক আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে সেহেতু ত্বকের ময়েশ্চার ক্রমাগত কমতে থাকে, দিনে দিনে ত্বক রুক্ষ ও মলিন বয়ে পড়ে। যাদের ত্বক সারাবছর শুষ্ক থাকে তাদের শীত শুরু হওয়ার বেশ আগ থেকেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত।
এ জন্য বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে ত্বক ভাল থাকে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল: হালকা গরম জলে গোসল ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন।পা ফাটা রুখতে ফাটা ত্বকে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণ জল মিশিয়ে হাত ও পায়ের গোড়ালিতে মাখুন। বিশেষভাবে রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা উত্তম। ঠোঁট নিয়মিত পরিষ্কার করে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে চ্যাপস্টিক ও লিপ গ্লস উপকারী।নিয়মিত সুষম খাদ্য, প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উত্তম।
শীতে ঠাণ্ডা জল ব্যববার করার পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম জল ব্যবহার করা উত্তম। রাতে শুতে যাওয়ার আগে দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু, দই, ডিম, গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর আলতো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা কমে যাবে। ঠোঁট নরম ও কোমল রাখতে কমলার রস মেখে কিছুক্ষণ রাখতে পারেন কিংবা দুধের সর দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। ঠোঁটকে ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে হলে ভ্যাসলিন ব্যববার করতে পারেন।সারাদিনে দেড় থেকে দুই লিটার জল খেতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য জল খাওয়া খুব প্রয়োজন। শীতে প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া ভালো। শীতের শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে সুরক্ষা করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct