নতুন এক ধূমকেতুর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। নয়া সন্ধানপ্রাপ্ত এই বস্তুটির ধূমকেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে ধূমকেতু সি/২০১৯ কিউ ৪ (বোরিসভ)। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইনর প্লানেট সেন্টার (এমপিসি) এই আবিষ্কারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন। প্রথমে এই ধূমকেতুটির নাম জিবি ০০২৩৪ দেওয়া হলেও পারে পাল্টে দেওয়া হয়।
এই ধূমকেতুটির প্রথম নাগাল পাওয়া যায় মাসখানেক আগে ৩০ আগস্ট। বাখচিসারাই-এর ক্রিমিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল অবজারভেটরি থেকে একজন অপেশাদার জ্যোতির্বিদ প্রথম এটিকে শনাক্ত করেন। তার নাম গেন্নাদি বরিসভ। ওই সময় এটির অবস্থান ছিল সূর্য থেকে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন বা ৪৫ কোটি কিলোমিটার দূরে। মহাজাগতিক বস্তুটির একটি ‘হাইপারবোলিক’ কক্ষপথ রয়েছে। এ কারণেই প্রমাণ হয় এটি আমাদের পরিচিত জগতের বাইরের একটি মহাজাগতিক বস্তু যা মূলত ধূমকেতু। হাইপারবোলিক কক্ষপথ পূর্ণ বৃত্তের পরিসরের আকার সব সময় মেনে চলে না। এটির আকার গোল হলেও তা সব সময় বৃত্তের মতো হয় না। একটি নিখুঁত বৃত্তের কেন্দ্রের কৌণিক পরিমাণ হয় শূন্য ডিগ্রি। বহু গ্রহ, গ্রহাণু এবং ধূমকেতুর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কেন্দ্রীয় দূরত্ব ১ থেকে ০ পর্যন্ত হয়।
যদিও এর আগে ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত হয় দীর্ঘায়িত মহাজাগতিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়ার’, যেটি বিজ্ঞানীরা বলছেন ধূমকেতু। সৌরজগত-বহির্ভূত এই বস্তুগুলোকে বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে ‘ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ধূমকেতুতে সাধারণত ‘কমা’র মতো মাথা ও লেজ থাকার কথা। কিন্তু ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়ার’র ক্ষেত্রে লেজ এবং মাথার উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু সি/২০১৯ কিউ ৪ (বরিসভ) একটি সক্রিয় ধূমকেতু দৃশ্যমান হয়েছে লেজ এবং মাথার আকৃতি নিয়ে। ‘ওমুয়ামুয়ার’ আকৃতিতে অনেক ছোট হলেও নতুন আবিষ্কৃত ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট অনেক বড় প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং উজ্জ্বল ধরনের। তাই বিজ্ঞানীরা উচ্ছসিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct