বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা কি আবার সেই বাকশালে ফিরে যাবো। কোনো দিনও নয়। তাদের একদলীয় স্বৈরশাসনের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। আন্দোলনের মধ্যদিয়েই আমরা গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী ট্রাক মঞ্চ তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, ট্যাক্স বাড়িয়েছে। কিন্তু জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেনি। আজকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দেশ থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ১৮ মাস যাবত আটক করে রেখেছে। ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দিয়েছে। তারা মনে করেছে ৫শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক করে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে দমন করতে পারবে। কিন্তু আজকের এই র্যা লী প্রমাণ করেছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে তারা দমন করতে পারবে না।' মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশনেত্রীকে আটকে রেখে, জনগণকে মামলা দিয়ে, হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। সেজন্য দেশের সকল মানুষকে একত্রিত আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হঠাতে হবে। নেতাকর্মীদের আগমনে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকার সব গলিপথে বিএনপি নেতাকর্মীতে ভীরে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সব ধরণের যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে দক্ষিণে কালভার্ট রোড, সেগুনবাগিচার ভেতরে বিশেষ করে ছায়াযুক্ত স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের জটলা চোখে পড়ে। সমাবেশে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, মহিলাদলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ র্যা লীতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলাদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী। সমাবেশের আগে নয়াপল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর মোড় হয়ে আবারও নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। সাড়ে ৩টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct