ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ। ছোট্ট দুটো শব্দ হলেও, প্রভাব মারাত্মক। এতটাই মারাত্মক, যে এই মানসিক অবসাদের কারণে মস্তিস্কের গঠন বদলে যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রায় তিন হাজার মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী একজন সুস্থ মানুষ ও একজন মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা মানুষে মস্তিস্কের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য পাওয়া গেচে। এই পার্থক্যগুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও জীবনধারণের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। মস্তিস্কের যে অংশ হোয়াইট ম্যাটার নামে পরিচিত, সেটি মূলত ফাইবার পূর্ণ একটি অংশ। কোষের বিকাশ ও বিস্তারে সাহায্য করে এই জায়গা। এর জেরেই কোষগুলি বিভিন্ন সংকেত পেয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমস্যা তৈরি হচ্ছে ঠিক এখানেই। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা কোনও ব্যক্তির মস্তিস্কের এই অংশেই কোষের বিকাশে ও প্রসারিত হতে বাধা তৈরি হচ্ছে। ফলে সেই ব্যক্তি হারাচ্ছে তার চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা, ধীরে ধীরে হারাচ্ছে তার আবেগের উৎসস্থলের স্বাভাবিকতা। মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির মস্তিস্কে হোয়াইট ম্যাটার তার কর্মক্ষমতা হারায় ধীরে ধীরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মানসিক অবসাদ কর্মক্ষমতা হ্রাস করার অন্যতম কারণ। মানসিক শূন্যতা, একাকীত্ব অবসাদকে বাড়িয়ে তোলে। তিন হাজার ব্যক্তির উপর পরীক্ষা চালাতে ও গোটা গবেষণা বাস্তবায়িত করতে কাজে লাগানো হয়েছিল পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে। শুধু গবেষণাই নয়, মানসিক অবসাদগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেন গবেষকরা। মানসিক অবসাদ থেকে পুরোপুরি বের করে আনা যায়, বলে জানাচ্ছেন তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct