বিদ্যুতের বিল নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ করে থাকেন গৃহস্থার। তারা বলেন যে লাইট, ফ্যান চালিয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি বিল এসেছে। মাত্রাতিরিক্ত বিলের জন্য কম হয়রানি হতে হয় না মানুষের। কিন্তু যখন আকাশছোঁয়া বিল আসে তখন মাথা ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়। তাও আবার বিলের পরিমান যদি কয়েক কোটি টাকা হয়। কোনো শিল্প বা কারখানা নয় একশো কোটিরও বেশি টাকার বিল পাঠিয়ে তাকে লাগিয়ে দিয়ে হে যোগী রাজ্যের বিদ্যুৎ পর্ষদ। উত্তরপ্রদেশের হাপুর এলাকায় একব্যক্তির বিলের অঙ্ক দেখলে চমকে উঠতে হবে। হাপুরে কোনো রকমে দিন গুজরান করা মুহাম্মদ শামীম সম্প্রতি যে ইলেকট্রিক বিলটি পেয়েছেন তার টাকার পরিমাণ হল ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা। না, শামীমের বাড়িতে কমার্শিয়াল লাইন নেই, ডোমেস্টিক লাইন। তাতেই এই বিল আসায় ভেবে পাচ্ছেন না কি করবেন।
শামীম যদিও ওই বিল নিয়ে হাপুরের বিদ্যুৎ দফতরে দরবার করছেন। তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। বলা হচ্চেয়াগে টাকা জমা করুন, তারপর বিল নিয়ে ভাবা হবে। টাকা পরিশোধ করলে তবে কেটেডেওয়া লাইনে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে।
তবে বিদ্যুত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ নিশ্চিত করে বলেন, শামীম সংশ্লিষ্ট দফতরে ওই বিল নিয়ে গেলে তা সংশোধন করে দেয়া হবে। কিন্তু শামীম বলছেন, তিনি বার বার বিদ্যুত অফিসে গিয়েছেন। তাকে আগে বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এমন ঘটনা এবারই নতুন নয়। এর আগে জানুয়ারিতে উত্তর প্রদেশের কান্নাউজের এক বাসিন্দার নামে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছিল ২৩ কোটি টাকা। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে যাবে ১২৮ কোটি টাকার বিল। যোগী সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের এই কীর্তি সত্যি অবাক করে দেওয়ার মতো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct