বাড়ির আশেপাশে জোর আওয়াজ বা চিৎকার হলে রাগ হওয়া স্বাভাবিক। তাও আবার যদি প্রবেশের বাড়িতে থেকে কর আওয়াজ আসে তো কথাই নেই! অতীতে উদাহরণ আছে ছোট শিশু জোরে চিৎকার করলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মামলা হয়েছে। অনেকের বাড়ির কুকুর জোরে ঘেউ ঘেউ করে প্রতিবেশী কেস ঢুকেছেন। কিন্তু হাঁস মুরগির দাজে বিরক্ত হয়ে মামলা করার নজির পাওয়া যায় না। তবে সেই ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সে মহিস নামের একটি মোরগ জোরে ডাক ছাড়ায় তার মালিককে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এক প্রতিবেশী। মোরগটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতি ভোরে সেটি উচ্চ শব্দে ডেকে আশপাশের সবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মামলাটিকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকে এই মামলাকে ফরাসি গ্রামীণ সংস্কৃতির ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন। তার ওপর মোরগ ফ্রান্সের অন্যতম জাতীয় প্রতীক। এই মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার। এদিন আদালতের বাইরে মহিসের অনেক সমর্থক উপস্থিত ছিল। অনেক মোরগ–মুরগিও ছিল সেখানে।
ঘটনার শুরু ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ ওলেহোঁর হোশফো শহরে। সেখানকার সাঁ-পিয়ে-দোলেহোঁ এলাকার বাসিন্দা কোহিন ফেসুর পোষা মোরগ মহিস। তাঁর ৪০ প্রতিবেশীর মধ্যে মাত্র দুজন মহিসের ডাক নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় গেজাক গ্রামের মেয়র ব্রুনো দিওনিস দু সেজু এক খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘গ্রামে গির্জার বেল বাজবে, গরু হাম্বা ডাকবে, গাধারা ডাকবে—এই তো ফ্রান্সের ঐতিহ্য। আমি যখন শহরে যাই, তখন তো ট্রাফিক বাতি ও গাড়িঘোড়া সরাতে বলি না।’