যেকোনও সময়ে শুরু হয়ে যেতে পারে পরমাণু যুদ্ধ । গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে। কিছু দিন আগেই ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি বা আইএনএফ চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে এসেছে আমেরিকা ও রাশিয়া। এর পর থেকেই পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁপছে পৃথিবী। শুধু তাই নয়, ইউরোপের গণ্ডি ছাড়িয়ে এই ভয় এখন তাড়া করছে এশিয়াকেও। পুলওয়ামা হামলার পরবর্তীতে দুই পরমাণুশক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধং দেহি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জন উনের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বৈঠক নিষ্ফলা হওয়ায় এশিয়ার আকাশে যুদ্ধের কালো মেঘ আরো ঘনিয়ে এসেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছে গোটা বিশ্ব। ভাবা হচ্ছে দু’টি উপায়। এক, বিশ্বজুড়ে সমস্ত পরমাণু অস্ত্রগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা। দুই, মহাকাশে একটি প্রোটেকটিভ মিসাইল ডিফেন্স শিল্ড স্থাপন করা। দ্বিতীয় রাস্তাটি বেছে নেওয়ার কথা ভাবছে একাধিক দেশ। কারণ, এতে কোনো দেশকেই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটতে হবে না। স্নায়ু যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে হওয়া বিভিন্ন নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিগুলি এত দিন রাশিয়া ও আমেরিকার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার গড়ার প্রতিযোগিতায় রাশ টেনেছিল।