বিহারে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদ করায় গার্লস হোস্টেলে ঢুকে ৩৪ জন ছাত্রীকে মারাত্মকভাবে মারধর করে একদল লোক। আহত ছাত্রীদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের ২২ জন কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আরো ছয়জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
রাজধানীর পাটনা থেকে ২৫০ কিমি দূরে সাওপৌল জেলার ত্রিভিনগঞ্জে ছাত্রীদের ও স্থানীয় ছেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে শনিবার এই ঘটনা ঘটে।
ওইদিন স্থানীয় কিছু ছেলে স্কুলের সীমানা ডিঙিয়ে গোপনে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের বেরিয়ে যেতে বললে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তারা। জবাবে ছেলেদের মারধর করে ছাত্রীরা।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর প্রায় ৫ টায় ছেলেরা তাদের বাবা-মা এবং আত্মীয়দের সাথে ফিরে আসে। হোস্টেলে থাকা ছাত্রীদের ওপর শুরু হয় নির্দয় মারধর। স্কুলের শিক্ষকদেরও রেহাই দেয়নি তারা।
ছাত্রীদের অভিযোগ, এ সময় সাহায্য চেয়েও পুলিশের কাছ থেকে তা পায়নি তারা।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বৈদ্যনাথ যাদব বলেন, "আমরা কাউকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুমতি দেব না কারণ এই ধরনের কাজ সহজেই সহ্য করা যায় না"।
বিহারের বিরোধীদলীয় নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার নিজেই সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের সাহায্য করেন। তিনি গুণ্ডাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এজন্যই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে।’